রাতে ঘুম ও খাবারের ব্যাপারে করনীয়
Published : অক্টোবর ২৪, ২০১৭ | 1611 Views

রাতে দেরি করে খাচ্ছেন? দেরি করে ঘুমান? তাহলে সাবধান!
গবেষণায় দেখা গেছে, দেরি করে রাতে খেলে শারীরিক অনেক সমস্যা হয়। যত দেরি করে খাবেন, তত বিপদ। দেরি করে ডিনার-এ বারোটা বাজবে হার্টের। বাড়বে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা। ওবেসিটি, ডায়াবেটিসের আশঙ্কা!
ঘড়ির কাঁটা ৮টা ছোঁয়ার পর রাতের খাবার খেয়েছেন কি মরেছেন। তাহলে আসুন আমরা রাত ৮টার আগেই রাতের খাবার খাওয়া সেরে নিই।
রাতের খাবারের আদর্শ সময় ৮টা। তার পরে ডিনার করলেই বিপদ। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ক্রনিক অম্বল, গ্যাসের সমস্যা। বাড়বে রক্তচাপ। স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বাড়বে। ওজন বাড়ার আশংকা।
ঘুম থেকে উঠেই ক্যারিয়ারের পিছনে ছোটা। দিনভর ছুট, ছুট আর ছুট। খাওয়ার রুটিনটাই বদলে গেছে। কিন্তু শরীর তো আর সে কথা শুনবে না। সে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে। নিয়ম বদলালেই শরীরের দফারফা। তাই শরীর ঠিক রাখতে ঠিক সময়ে পরিমাণমতো খাওয়া আর রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
সাম্প্রতিক একটি মার্কিন গবেষণা বলছে, বেশি রাতে খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লে খাবার হজম হয় না। ফলে, অম্বল, বুক জ্বালা, অস্বস্তি। বদহজমে বারবার ঘুমও ভেঙে যেতে পারে। ধীরে ধীরে ইনসমনিয়ার মতো রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।
বেশি রাতে খাওয়ার ফলে পরেরদিন সকালে খিদে পাবে না। ফলে ব্রেকফাস্ট বাদ। একে বলে মর্নিং অ্যানোরেক্সিয়া। কিন্তু সারাদিনের খাওয়ার মধ্যে ব্রেকফাস্টই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাতে জাঙ্ক খাবার, মিষ্টি বা নোনতা খাবার বা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার পুরোপুরি বর্জন করুন।
বেশি রাতে খেয়েই ঘুম? ব্লাড প্রেশার বাড়বে। তাই রাত ৮টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। খেয়েই ঘুমিয়ে পড়া চলবে না। অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমাবেন।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বেশি রাতে ডিনার করলে স্মৃতিশক্তির ওপর প্রভাব পড়ে। ভবিষ্যতে অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগ হতে পারে।
কিভাবে কমানো যাবে বেশি রাতে খাওয়ার প্রবণতা?
গবেষকদের দাবি, ভরপেট খাবার না খেয়ে একটু স্যালাড, অল্প একটু গরম দুধ খাওয়া যেতে পারে। সহজপাচ্য শাক-সবজি খাওয়াই ভাল। রেড মিট, ভাজাভুজি, সোডা, ক্যান্ডি খাওয়া চলবেই না। রাতের খাবার আর শুতে যাওয়ার মধ্যে অন্তত ২ ঘণ্টার ব্যবধান রাখতেই হবে। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনারের মধ্যে সঠিক ব্যালান্স করতে হবে। একেবারে অনেকটা না খেয়ে সারাদিনে অল্প পরিমাণে খেতে হবে।
মহানবী (সঃ) যখন খেতেন, পাকস্থলির এক-তৃতীয়াংশ পানি, এক-তৃতীয়াংশ শক্ত খাবার, বাকি এক-তৃতীয়াংশ খালি রাখতেন। আমাদেরকেও এই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। আর প্রথমে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিয়ে তারপর ভারি খাবার খাওয়া শুরু করবেন।
শেষ কথা- সকালে খান ‘রাজা’র মতো, দুপুরে খান ‘প্রজা’র মতো আর রাতে খান ‘ভিখারি’র মতো!
রাজিব আহমেদ
Published : অক্টোবর ২৪, ২০১৭ | 1611 Views